Friday, December 26, 2014

আরও কিছু রোম্যান্টিকতা

অনেকেই আমার রোম্যান্টিক কবিতার উৎস বা কারন খোঁজার চেষ্টা করেন।  আমি অনেকদিন থেকেই লিখি।  কবিতা লেখা এবং আবৃত্তি করা আমার খুবই প্রিয় -  শুধু এতদিন প্রকাশ করিনি।  আমার মনে যখন যেটা আসে, লিখি।  এর পেছনে উৎস/কারন খোঁজা আর বেহুদা সময় নষ্ট করা একই কথা :)  আর আমার সাম্প্রতিক বেশভূষার পরিবর্তনেও অনেকে ভুরু কুঁচকে কারন বের করার চেষ্টা করছেন।  আমার মা, আমার বড় ভাই এবং আমার ভাবী - এই তিনজনের এর পেছনে অবদান আছে।  অনেক দিন থেকেই তাদের ভেতর চাপা একটা অভিমান আছে আমার প্রতি - আমি কেন এত উরাধুরা চলি।  সেটা দূর করার চেষ্টা চলছে।  ভার্সিটি সংক্রান্ত আরেকটা কারন আছে এর পেছনে যেটা আমার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন কলিগ ছাড়া আর কেও জানেনা - জানার দরকারও নাই।  যাই হউক - আবারও দুইখান রোম্যান্টিক কবিতা - 

"আমি শ্রাবণের বিরামহীন  বৃষ্টির মত
নিরন্তর ভালবেসে যাব
দ্বিধাহীন, ক্লান্তিহীন, অভিযোগ অনুযোগহীন
বুকের ভেতর দৈনিক ডানা ঝাঁপটাবে
অস্থির প্রজাপতি
হঠাৎ হঠাৎ, কণ্ঠনালীর চারপাশে
চেপে বসবে যন্ত্রণার নীলাভ শেকল
আমি তবু বুকভরে নিঃশ্বাস নেব অস্তিত্ব তোমার
অসীম কালের অতি ক্ষুদ্র যে অংশ
আমি ধারণ করে আছি
সে জীবন ভালবেসে গলে ক্ষয়ে যাক!
আমি তবু ক্ষান্ত দেবনা!
দেখিনা - তোমার কত আছে প্রতিরোধ!"

-----------------------------------

"শুনেন ম্যাডাম -
এতটুকু আনুরাগও ছিলনা আমার
এ কথা ও কথার ছলে
বেঁধেছেন কঠিন জালে।
চারদিকে সুদৃঢ় দেয়াল তুলে
ভালই ছিলেম নিরালা।
গভীর চোখের বাণে
ধরালেন গভীর ফাটল
প্রতিরোধে আমার
এখন আমার নির্ঘুম রাত
আপনি কাটাবেন স্বপ্নিল -
এ কেমন কথা!
আমার অস্থির মুহূর্তগুলোয়
আপনি বুঁদ হবেন খিলখিল হাসিতে -
মেনে নিতে পারবোনা, কিছুতেই!"

Monday, December 15, 2014

ক্ষুদ্র ভূখণ্ড আমার

আমি মানুষ ভালবাসি!  বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষদেরএকটু বেশিই ভালবাসি!  এই ভালবাসা আমাকে নিদারুনভাবে আটকে ফেলেছে - যে বন্ধন ছেড়ে আমার পক্ষে আর কোথাও যাওয়া সম্ভব না।  এই কারনেই এক সময় আমার জীবন নিঃসঙ্গ হবে বলে মনে হয়!  জীবনের অনেক বেহুদা কষ্টেরও আমি মানে খুঁজে ব্যর্থ হই প্রতিদিন!

"ভেবেছিলাম -
নির্ভেজাল হেঁটে যাব
আপন সূর্যাস্তের দিকে
সরলরেখার মত পথ ধরে নিপালিশ।
ভেবেছিলাম -
বৃষ্টিতে ভেজা দোলনচাঁপা
সহজ সরল, মেটাবে জীবনের সব চাওয়া পাওয়া
স্রষ্টার পরিকল্পনাতে
মনে হয় আছে ভিন্ন আভাস!
পায়ের পাতা ফুঁড়ে শেকর গিয়েছে বসে
এ মাটির গভীরে।
আমি হিবিজিবি, নিয়ম নীতিহীন এই ভূখণ্ড ছেড়ে
যেতে আর পারবোনা কোথাও।
বিশ্ব মানচিত্রের এতটুকু ক্ষুদ্র যে স্থান
কি এক কঠিন বাঁধনে সে বেঁধেছে আমায়! 
নিদারুন এই উপলব্ধি
বারে বারে বলে - "ওরে পাগল! এখনো বুঝিস না?
জীবনের গোধূলি হবে নিঃসঙ্গ যে তোর।"
ক্ষুদ্র এই জীবনের সাথে
বড় বড় কষ্টের গাণিতিক যোগাযোগ
কিছুতেই বোঝা যায় না "

Thursday, December 11, 2014

প্রার্থনা

স্রষ্টার প্ল্যান আসলে বুঝা যায় না।  জীবনের কিছু কিছু সময় ভুল করে অভিমান হয়ে যায় -  "কেন?" প্রশ্নটা অযাচিত করে ফেলি।  স্রষ্টা আমাকে ক্ষমা করুন! 
---------------------------
"স্রষ্টা আমার -
ভীষণ যে ভালবাসি, সেই অধিকারে
আমি ভুলেভালে
আপন অবস্থান ভুলে
করেছি অভিমান!
ক্ষমা কি করবে না আমায়?
ফিরাবে কি তোমার মুখ
অধমের থেকে?
ভোরের নিঃসঙ্গ কান্নার উপহার
নেবেনা তুমি?
কি এমন হবে ক্ষতি
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের, কি হবে ক্ষতি
খুদ্র আমাকে দিলে
বেকসুর খালাস?
জীবনের না মেলা হিসেবগুলো
মিলিয়ে দিলে, কি হবে এমন?
ক্ষমা করে দেবেনা সব ভুল অনুভব?
তোমার নাতিশীতোষ্ণ ছায়ায়
হেঁটে যাব জীবনের শেষ সীমানায়।
দেবেনা সুযোগ? "

Wednesday, December 3, 2014

আশরাফ ফারুক - আমার কলিগ।  মানুষের জন্য ভালবাসা এবং বৈষম্যের প্রতি ঘৃণা - তার ভেতর দুইটাই প্রবল।  আমি আশা করব সে আজীবন নম্রতা অবলম্বন করে মানুষকে ভালবেসে যাবে।  আমি তার ভেতরের নিরপেক্ষতাকে (যা অধিকাংশ মানুষের ভেতর নেই) শ্রদ্ধা করি।  তার জন্য -

"কিশোর রিকশাওয়ালার
ঘর্মাক্ত পিঠের দিকে তাকিয়ে থেকে থেকে
পুরো রাস্তা ভীষণ জ্বলেছে আমার দুই চোখ
তার বাষ্পীভূত ঘাম যেন ভেসে ভেসে
আমার চোখের ভেতর
অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি হয়ে গেড়েছে আবাস!
অজস্র শিশু শ্রমিকের না খেলা বিকেলগুলো
আমার শান্তিতে, স্বস্তিতে বাঁধ সেধে
নাছোড়বান্দার মত লেগে থাকে পিছে -
প্রতিদিন।
শীতের কনকনে রাতে
ফুটপাতে ঘুমন্ত মানুষের
নগ্ন পায়ের দিকে তাকিয়ে
নিদারুণ যন্ত্রণা মাথার ভেতর!
কিছু ভালো লাগেনা আমার, কিছুই না!
সব ভেঙ্গে ফেলবার ইচ্ছা পূরণে ব্যর্থ
আমার অকেজো দু'হাত!
বাংলাদেশ!
তুমি আর মায়াহীন মরুভুমি না হয়ে
কবে হবে মরুদ্যেন -
আমার বোনের জন্যে,
আমার ভাইয়ের জন্যে,
আমার সন্তানের জন্যে,
আমার ভালবাসার জন্যে?
"