Saturday, February 28, 2015

অভিশাপ দিতাম!

আমার নবী(সাঃ) যদি অভিশাপ দেয়াটা অপছন্দ না করতেন তাহলে আমি ভয়াবহ অভিশাপ দিতাম তাদের যারা তাদের ঘৃণা এবং সংকীর্ণতার তুষ্টি সাধন করার জন্য আমার কোন কোন নিরীহ, নামাজি ছাত্রকে অন্যায়ভাবে কোন গোষ্ঠীর ছিল ছাপ্পর মেরে বিপদে ফেলার চেষ্টা করে বা তাদের রাস্তাঘাটে বিরক্ত করে!  এমন অভিশাপ দিতাম যেন তাদের জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত দুর্বিষহ হয়!  আমার এই অভিশাপ আল্লাহ গ্রহন করতেন কিনা জানিনা, কিন্তু আমি অভিশাপ দিতাম!
আর কেও কেও খুব খুশি হবে আমি মরে গেলে বোঝা গেল - আমি কেন বাসের তলায় পরি নাই সেটা নিয়ে আক্ষেপ দেখা গেছে!  আমি কখনো মায়া ছাড়া কিছু দেইনি - প্রতিদান ভালই!  ঘৃণা কতদুর যেতে পারে!
আর কেও কেও আছে যারা নিজ গোত্রীয় কেও খুন হলে খুব কষ্ট পান, কিন্তু অন্য গোত্রের কেও খুন হলে তাদের কিছু যায় আসেনা - এরাই আবার মানবতার স্লোগান তুলেন!  
আর আমাদের মুসলমানদের মনে রাখতে হবে কে কোথায় কি বলছে ইসলাম নিয়ে সেটা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে আমি নিজে ইসলাম পালন করছি কিনা সেটার দিকে নজর রাখা।  বিচার-বহির্ভূত কোন হত্যাকাণ্ড সমর্থন করার প্রশ্নই আসে না!
আমার সংস্কৃতি নির্ধারিত হয় আমার বিশ্বাস দ্বারা ।  আর যেহেতু ইসলামে আমি বিশ্বাস করি, কাজেই সেটই আমার সংস্কৃতির বড় একটি অংশ।  কারো সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ভাষা, জাতীয়তা, জাতীয় সঙ্গীত, দেশ - এই সংবেদনশীল জিনিশগুলো নিয়ে নোংরা কথা কেও বললে সেটা তাদের গায়ে লাগতেই পারে, তারা ক্ষোভ প্রকাশ করতেই পারে।  একইভাবে ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করলে, নবি (সাঃ) কে নিয়ে বাজে মন্তব্য করলে খুব্ধ হবার অধিকার আমাদের মুসলমানদের অবশ্যই আছে যদিও কেও কেও মনে করেন সে অধিকারও আমাদের নেই!  তবে আমাদের মুসলমানদের খেয়াল রাখতে হবে যে ক্ষোভ প্রকাশের ভাষাটা যেন সন্ত্রাস না হয় এবং শালীনতাবিবর্জিত না হয়!  এখানে আমাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখা একান্ত জরুরী।
আমাদের ক্ষমাশিলতা শিখতে হবে - এটাই কোরআন এবং সুন্নার শিক্ষা!  মক্কা বিজয়ের পর আমাদের নবি(সাঃ) তার সকল শত্রুদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন যদিও এই শত্রুরাই তাঁকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছিল, তাঁকে হত্যার বিভিন্ন প্রয়াশ চালিয়েছিল!  তিনি সেবা করেছেন এমন মানুষের যে তাঁর পথে নিয়ত কাঁটা বিছিয়ে রাখত। আমাদের এগুলো মনে রাখতে হবে।
কিছু কিছু মানুষ আমাদের ক্ষেপাবার প্রানান্ত চেষ্টা করে যাবে, তারা প্রতিনিয়ত নোংরাভাবে আমাদের ধর্মকে, আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) কে আঘাত করবে।  কিন্তু আমরা ধৈর্য ধরব, আমাদের রাগ সম্বরন করব এবং কখনো সন্ত্রাসকে বেছে নেবনা!   আমরা তাদের জন্য দোয়া করব যাতে আল্লাহ তাদের হেদায়েত দেন।
এসব লোকজন তাদের 'পরিশুদ্ধ বিবেক' আর 'উন্নততর বুদ্ধিবৃত্তির' নেশায় বুঁদ হয়ে সিংহভাগ সময় ব্যয় করবে আমাদের দোষ ধরতে, খোঁচাতে।  কিন্তু আমাদের এসবের দিকে নজর দেবার সময় নেই - আমরা আমাদের সিংহভাগ সময় ব্যয় করব জ্ঞান অর্জনে, সমাজের দুঃস্থ মানুষের সাহায্যে, আমাদের  পাড়া-প্রতিবেশিদের সহায়তা দিতে, অবিচার দূর করতে।
আমরা সর্বদা ক্ষমাশিলতাকে প্রাধান্য দেব কারন আল্লাহ সেটাকেই উত্তম বলেছেন।  আমরা সর্বদা শান্তিকেই প্রাধান্য দেব - কারন সেটাই কোরআন এবং সুন্নার শিক্ষা!   আর আল্লাহ আমাদের পরিষ্কার আদেশ দিয়েছেন যারা অমুসলিম তাদের তাচ্ছিল্ল্য না করতে।  কাজেই সে পথ মাড়ানোর দুঃসাহস আমাদের দেখানোর কোন প্রয়োজন নেই।  
আল্লাহ আমাদের সবার সহায় হন!

Tuesday, February 17, 2015

শৃঙ্খল

মাঝে মাঝে মনে হয় সমস্ত নিয়ম যদি ভেঙ্গে যেত, তবে বেশ হতো!  আজীবন বিভিন্ন নিয়মের বেড়াজালে আমদের থাকতে হয়, যা আমদের সময় সময় অস্থির করে তুলে!  মাঝে মাঝে এমন সব আবেগ আমাদের তাড়া করে ফেরে যার উৎস আমাদের অজানা! হঠাৎ হঠাৎ তাই মনে হয় সব ভেঙ্গে ফেলি, সব বেড়াজাল উপড়ে ফেলি - খুব ইচ্ছে হয় সমস্ত আবেগ কাঁচের মত স্বচ্ছ হয়ে যাক!  কিন্তু পরক্ষনেই মনে হয়, এতেই কি মুক্তি মিলবে? শান্ত হবে জটিল এই মন?
------------
"শুধু একদিন
ভেঙ্গে যদি যেত পৃথিবীর সমস্ত নিয়ম!
শুধু একটি মুহুরতের জন্য,
ঝুরঝুরে বালির মতো যদি
খসে যেত সমস্ত শৃঙ্খল!
শুধু একদিন,
শুধু এক মুহুরতের জন্য,
ছিড়ে যদি যেত আমার সমস্ত বাঁধন,
বানের জলে যদি যেত মুছে
সমস্ত পরিসীমা!
শুধু একদিন,
শুধু এক মুহুরতের জন্য,
টলটলে জলের মতো যদি স্বচ্ছ হয়ে যেত
আমার সমস্ত আবেগ!
মুক্ত কি হতাম আমি?
হে স্রষ্টা -
তোমার ভয়াবহ সৃষ্টি এই মানব মন,
গুঢ় আবেগের এই সন্মিলন
না বোঝার ক্লান্তিতে নুব্জ্য করেছে আমায়!
বোঝাও তুমি - কেন সন্ধ্যার আগমন
বিষণ্ণ করে তুলে আমাকে এমন!
সুচতুর শিকারির মতো কেন
তাড়া করে ফেরে সব ফেলে আসা ক্ষণ!
কারণবিহীন সব ভালো না লাগা
আর ভালো লাগেনা!" 

Sunday, February 1, 2015

তুই?

বিরোধী দলের সাম্প্রতিক জ্বালাও পোড়াও আর সরকারের পুলিশি নির্যাতন, অগনতান্ত্রিক আচরনে বিরক্ত হয়ে গেলাম!  এদের আমি মানি না, মানবো না!  আমার এই কবিতা তাদের প্রতি আমার এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ---
"তুই থামাবি আমার প্রাণের স্পন্দন?
জানিস না,
স্রষ্টার হাতে আমার এই যে জীবন?
গলা টিপে থামাবি তুই আমার কোলাহল?
তুই পোড়াবি আমার আদরের ত্বক?
তুই?
ভীতির বাঁধে থামাবি আমার
চেতনার স্রোত?
তোর পেট্রোল বোমার
আমি করি থোরাই কেয়ার!
জেনে রাখ!
জেনে রাখ!
তোর পেটোয়া বাহিনীর চোখে রেখে চোখ
আমি দৃঢ় পায়ে হেঁটে যাব গন্তব্যে আমার!
ভেবেছিস তোর ভয়ে
এক ঠায় বসে রব ইজি চেয়ারে!
কোনদিন না,  কক্ষনো না!
আমি কাজে যাব,
যাব কবিতা উৎসবে,
আমি যাব মসজিদে
আমার ভালবাসাদের নিয়ে
খুশিমতো ঘুরে ফিরে বেড়াবো আমি
আমার এ ভুমিতে!
নিকুচি করি তোর সন্ত্রাসের!
তোর নিয়ন্ত্রণে আমি দেব না জীবন!
জেনে রাখ!
জেনে রাখ!
আর তৈরি হয়ে থাক!
তোর দোরগোড়ায়,
মুষ্টিবদ্ধ হাতে একদিন আমাকেই পাবি!"