আমার নবী(সাঃ) যদি অভিশাপ দেয়াটা অপছন্দ না করতেন তাহলে আমি ভয়াবহ অভিশাপ দিতাম তাদের যারা তাদের ঘৃণা এবং সংকীর্ণতার তুষ্টি সাধন করার জন্য আমার কোন কোন নিরীহ, নামাজি ছাত্রকে অন্যায়ভাবে কোন গোষ্ঠীর ছিল ছাপ্পর মেরে বিপদে ফেলার চেষ্টা করে বা তাদের রাস্তাঘাটে বিরক্ত করে! এমন অভিশাপ দিতাম যেন তাদের জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত দুর্বিষহ হয়! আমার এই অভিশাপ আল্লাহ গ্রহন করতেন কিনা জানিনা, কিন্তু আমি অভিশাপ দিতাম!
আর কেও কেও খুব খুশি হবে আমি মরে গেলে বোঝা গেল - আমি কেন বাসের তলায় পরি নাই সেটা নিয়ে আক্ষেপ দেখা গেছে! আমি কখনো মায়া ছাড়া কিছু দেইনি - প্রতিদান ভালই! ঘৃণা কতদুর যেতে পারে!
আর কেও কেও আছে যারা নিজ গোত্রীয় কেও খুন হলে খুব কষ্ট পান, কিন্তু অন্য গোত্রের কেও খুন হলে তাদের কিছু যায় আসেনা - এরাই আবার মানবতার স্লোগান তুলেন!
আর আমাদের মুসলমানদের মনে রাখতে হবে কে কোথায় কি বলছে ইসলাম নিয়ে সেটা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে আমি নিজে ইসলাম পালন করছি কিনা সেটার দিকে নজর রাখা। বিচার-বহির্ভূত কোন হত্যাকাণ্ড সমর্থন করার প্রশ্নই আসে না!
আমার সংস্কৃতি নির্ধারিত হয় আমার বিশ্বাস দ্বারা । আর যেহেতু ইসলামে আমি বিশ্বাস করি, কাজেই সেটই আমার সংস্কৃতির বড় একটি অংশ। কারো সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ভাষা, জাতীয়তা, জাতীয় সঙ্গীত, দেশ - এই সংবেদনশীল জিনিশগুলো নিয়ে নোংরা কথা কেও বললে সেটা তাদের গায়ে লাগতেই পারে, তারা ক্ষোভ প্রকাশ করতেই পারে। একইভাবে ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করলে, নবি (সাঃ) কে নিয়ে বাজে মন্তব্য করলে খুব্ধ হবার অধিকার আমাদের মুসলমানদের অবশ্যই আছে যদিও কেও কেও মনে করেন সে অধিকারও আমাদের নেই! তবে আমাদের মুসলমানদের খেয়াল রাখতে হবে যে ক্ষোভ প্রকাশের ভাষাটা যেন সন্ত্রাস না হয় এবং শালীনতাবিবর্জিত না হয়! এখানে আমাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখা একান্ত জরুরী।
আমাদের ক্ষমাশিলতা শিখতে হবে - এটাই কোরআন এবং সুন্নার শিক্ষা! মক্কা বিজয়ের পর আমাদের নবি(সাঃ) তার সকল শত্রুদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন যদিও এই শত্রুরাই তাঁকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছিল, তাঁকে হত্যার বিভিন্ন প্রয়াশ চালিয়েছিল! তিনি সেবা করেছেন এমন মানুষের যে তাঁর পথে নিয়ত কাঁটা বিছিয়ে রাখত। আমাদের এগুলো মনে রাখতে হবে।
কিছু কিছু মানুষ আমাদের ক্ষেপাবার প্রানান্ত চেষ্টা করে যাবে, তারা প্রতিনিয়ত নোংরাভাবে আমাদের ধর্মকে, আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) কে আঘাত করবে। কিন্তু আমরা ধৈর্য ধরব, আমাদের রাগ সম্বরন করব এবং কখনো সন্ত্রাসকে বেছে নেবনা! আমরা তাদের জন্য দোয়া করব যাতে আল্লাহ তাদের হেদায়েত দেন।
এসব লোকজন তাদের 'পরিশুদ্ধ বিবেক' আর 'উন্নততর বুদ্ধিবৃত্তির' নেশায় বুঁদ হয়ে সিংহভাগ সময় ব্যয় করবে আমাদের দোষ ধরতে, খোঁচাতে। কিন্তু আমাদের এসবের দিকে নজর দেবার সময় নেই - আমরা আমাদের সিংহভাগ সময় ব্যয় করব জ্ঞান অর্জনে, সমাজের দুঃস্থ মানুষের সাহায্যে, আমাদের পাড়া-প্রতিবেশিদের সহায়তা দিতে, অবিচার দূর করতে।
আমরা সর্বদা ক্ষমাশিলতাকে প্রাধান্য দেব কারন আল্লাহ সেটাকেই উত্তম বলেছেন। আমরা সর্বদা শান্তিকেই প্রাধান্য দেব - কারন সেটাই কোরআন এবং সুন্নার শিক্ষা! আর আল্লাহ আমাদের পরিষ্কার আদেশ দিয়েছেন যারা অমুসলিম তাদের তাচ্ছিল্ল্য না করতে। কাজেই সে পথ মাড়ানোর দুঃসাহস আমাদের দেখানোর কোন প্রয়োজন নেই।
আল্লাহ আমাদের সবার সহায় হন!
আর কেও কেও খুব খুশি হবে আমি মরে গেলে বোঝা গেল - আমি কেন বাসের তলায় পরি নাই সেটা নিয়ে আক্ষেপ দেখা গেছে! আমি কখনো মায়া ছাড়া কিছু দেইনি - প্রতিদান ভালই! ঘৃণা কতদুর যেতে পারে!
আর কেও কেও আছে যারা নিজ গোত্রীয় কেও খুন হলে খুব কষ্ট পান, কিন্তু অন্য গোত্রের কেও খুন হলে তাদের কিছু যায় আসেনা - এরাই আবার মানবতার স্লোগান তুলেন!
আর আমাদের মুসলমানদের মনে রাখতে হবে কে কোথায় কি বলছে ইসলাম নিয়ে সেটা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে আমি নিজে ইসলাম পালন করছি কিনা সেটার দিকে নজর রাখা। বিচার-বহির্ভূত কোন হত্যাকাণ্ড সমর্থন করার প্রশ্নই আসে না!
আমার সংস্কৃতি নির্ধারিত হয় আমার বিশ্বাস দ্বারা । আর যেহেতু ইসলামে আমি বিশ্বাস করি, কাজেই সেটই আমার সংস্কৃতির বড় একটি অংশ। কারো সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ভাষা, জাতীয়তা, জাতীয় সঙ্গীত, দেশ - এই সংবেদনশীল জিনিশগুলো নিয়ে নোংরা কথা কেও বললে সেটা তাদের গায়ে লাগতেই পারে, তারা ক্ষোভ প্রকাশ করতেই পারে। একইভাবে ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করলে, নবি (সাঃ) কে নিয়ে বাজে মন্তব্য করলে খুব্ধ হবার অধিকার আমাদের মুসলমানদের অবশ্যই আছে যদিও কেও কেও মনে করেন সে অধিকারও আমাদের নেই! তবে আমাদের মুসলমানদের খেয়াল রাখতে হবে যে ক্ষোভ প্রকাশের ভাষাটা যেন সন্ত্রাস না হয় এবং শালীনতাবিবর্জিত না হয়! এখানে আমাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখা একান্ত জরুরী।
আমাদের ক্ষমাশিলতা শিখতে হবে - এটাই কোরআন এবং সুন্নার শিক্ষা! মক্কা বিজয়ের পর আমাদের নবি(সাঃ) তার সকল শত্রুদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন যদিও এই শত্রুরাই তাঁকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছিল, তাঁকে হত্যার বিভিন্ন প্রয়াশ চালিয়েছিল! তিনি সেবা করেছেন এমন মানুষের যে তাঁর পথে নিয়ত কাঁটা বিছিয়ে রাখত। আমাদের এগুলো মনে রাখতে হবে।
কিছু কিছু মানুষ আমাদের ক্ষেপাবার প্রানান্ত চেষ্টা করে যাবে, তারা প্রতিনিয়ত নোংরাভাবে আমাদের ধর্মকে, আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) কে আঘাত করবে। কিন্তু আমরা ধৈর্য ধরব, আমাদের রাগ সম্বরন করব এবং কখনো সন্ত্রাসকে বেছে নেবনা! আমরা তাদের জন্য দোয়া করব যাতে আল্লাহ তাদের হেদায়েত দেন।
এসব লোকজন তাদের 'পরিশুদ্ধ বিবেক' আর 'উন্নততর বুদ্ধিবৃত্তির' নেশায় বুঁদ হয়ে সিংহভাগ সময় ব্যয় করবে আমাদের দোষ ধরতে, খোঁচাতে। কিন্তু আমাদের এসবের দিকে নজর দেবার সময় নেই - আমরা আমাদের সিংহভাগ সময় ব্যয় করব জ্ঞান অর্জনে, সমাজের দুঃস্থ মানুষের সাহায্যে, আমাদের পাড়া-প্রতিবেশিদের সহায়তা দিতে, অবিচার দূর করতে।
আমরা সর্বদা ক্ষমাশিলতাকে প্রাধান্য দেব কারন আল্লাহ সেটাকেই উত্তম বলেছেন। আমরা সর্বদা শান্তিকেই প্রাধান্য দেব - কারন সেটাই কোরআন এবং সুন্নার শিক্ষা! আর আল্লাহ আমাদের পরিষ্কার আদেশ দিয়েছেন যারা অমুসলিম তাদের তাচ্ছিল্ল্য না করতে। কাজেই সে পথ মাড়ানোর দুঃসাহস আমাদের দেখানোর কোন প্রয়োজন নেই।
আল্লাহ আমাদের সবার সহায় হন!
চমৎকার কথা বলেছেন স্যার। এই লেখাটা সবার পড়া দরকার। এই ভাবে ভাবতে শুরু করলে পৃথিবীটা হয়ত বদলেই যেত। আপনার ও সমগ্র বিশ্ববাসীর মঙ্গল কামনা করছি।
ReplyDeleteধন্যবাদ রানা! দাড়িওয়ালা, নামাজি এবং কোন ধরনের সংগঠনের সাথে জরিত নয় এমন কিছু আমার নিরিহ ছাত্র যখন হেঁটে যাচ্ছিল, তখন পেছন থেকে "ওই শিবির, ওই শিবির!" বলে চিৎকার করে উঠেছিল আমাদেরই অন্য কিছু ছাত্র। আমি চিৎকারকারিদের ঘৃণা এবং সংকীর্ণতার গভীরতা মাপতে যেয়ে ব্যর্থ হয়েছি - এই গভীরতা অপরিমেয় বলে মনে হয়েছে আমার কাছে!
ReplyDeleteameen
ReplyDeleteআমাদের সকলের উচিত ইসলাম ধর্ম যে শান্তির ধর্ম সেই শান্তিটাকে বজায় রাখা। এই শান্তি বজায় রাখতে গিয়ে অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা হারালেও চলবে না।
ReplyDeleteAlhamdulillah. Allah Amader sobar sohay hon
ReplyDeleteশান্তি বজায় রাখার দায়িত্তটা কিন্তু শুধুমাত্র মুসলমানদের না! এটা সবার দায়িত্ত - অন্যদেরও উচিত ইসলাম এবং মুসলমানদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কথা বলা! অন্যদের অপমান করাটা ঠিক মুক্তমনার লক্ষন বলে আমার মনে হয়য় না! পারস্পরিক সহযোগিতা এবং শ্রদ্ধা একান্ত জরুরী শান্তির জন্য।
ReplyDelete